যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্কুলে নিজের হাতে বানানো ঘড়ি দেখিয়ে বিপদে পড়েছিল ১৪ বছরের মুসলিম কিশোর আহমেদ । ঘড়িটিকে বোমা ভেবে তাকে এক পর্যায়ে পুলিশে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। `ঘড়িবালক` আহমেদ এবার ওই ঘটনার জন্য সোমবার আইনজীবীর মাধ্যমে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।
গত সেপ্টেম্বরে আহমেদ মোহাম্মদ বাড়িতে নিজের হাতে বানানো একটি ঘড়ি স্কুলে এনে বন্ধুদের দেখায়। তার শিক্ষক একে বোমা ভেবে পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ভুল বুঝতে পেরে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ । এ ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও দুঃখপ্রকাশ করেছেন এবং হোয়াইট হাউজে আহমেদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সে বর্তমানে কাতার ফাউন্ডেশনের দেওয়া মেধাবৃত্তি নিয়ে কাতারে পড়াশোনা করছে এবং সেখানেই পরিবারসহ বসবাস করছে।
আহমেদ মোহাম্মদের প্রতিনিধি হিসেবে একটি আইনি প্রতিষ্ঠান সোমবার আর্ভিং শহর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এক কোটি ডলার ও আর্ভিং ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল থেকে ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। পাশাপাশি এ ঘটনার জন্য আহমেদ মোহাম্মদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠিও দিতে বলা হয়েছে। আর যদি তা না করা হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আহমেদের আইনজীবী ক্ষতিপূরণ দাবি করে দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, ‘ আহমেদ কখনো কাউকে হুমকি দেয়নি, তার কারণে কখনো কারো ক্ষতি হয়নি এবং কারো ক্ষতির চেষ্টাও করেনি। ওই দিন কেবল আহমেদই আঘাত পেয়েছিল। সে যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সেটি ভুলক্রমে কিংবা অযোগ্যতার কারণে নয়।’
চিঠিতে দাবি করা হয়, ওই ঘটনায় আহমেদের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এবং সে ও তার পরিবার শারীরিক ও মানসিক আঘাত পেয়েছে। কেবল তার ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগত কারণে তাকে এ ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে।